খালাসের আগেই বন্দর চত্বরে এক কনটেইনারে আনা এই মদ জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর রাতে বন্দর চত্বরেছবি: সংগৃহীতএক বছরের বেশি সময় ধরে কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। এমন কারখানার নামে আমদানি হয়েছে বিদেশি মদের চালান। খালাসের আগেই বন্দর চত্বরে এক কনটেইনারে আনা এই মদ জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
আজ বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর মদের চালান জব্দ করার বিষয়টি প্রকাশ করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
প্রায় ৯ মাস আগে কাপড়ের চালানের নামে মদের চালান আমদানি হলেও খালাস না হওয়ায় সন্দেহ হয় কর্মকর্তাদের। এরপর সন্দেহ থেকে বুধবার দিবাগত রাতে কনটেইনার খোলা হয়। রাতভর কনটেইনারে থাকা কার্টন খুলে ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার মদের বোতল জব্দ করা হয়।
আজ বন্দর চত্বরে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চীন থেকে কাপড় আমদানির নামে মদের চালানটি আনা হয়েছে। কনটেইনারে থাকা মদের শুল্কায়ন মূল্য দুই কোটি টাকা। মদ আমদানিতে শুল্কহার ৬১১ দশমিক ২০ শতাংশ। এ হিসাবে জব্দ চালানে শুল্ককর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা হয় ১২ কোটি টাকার।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার এ কে এম খায়রুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় চালানটি নিয়ে সন্দেহ হয়। এরপরই চালানটি খুলে সত্যতা পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রাথমিক নথি অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেডের নাম ব্যবহার করে মদের চালানটি আনা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে কারখানাটির একজন প্রতিনিধি কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করেছেন, কারখানাটি এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এই চালানটিও তাঁদের নয়।
কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার এ কে এম খায়রুল বশর জানান, নারায়ণগঞ্জের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেড চীন থেকে ফেব্রিক্স ঘোষণায় এক কন্টেনার পণ্য আমদানি করে। চালানটি খালাসের জন্য চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাফেজ ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। কিন্তু খালাসের আগেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিস্ক ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্স (এআইআর) টিম চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে অভিযান চালায়। এ সময় ২০ ফুট লম্বা একটি কন্টেনারে বিদেশি মদের চালানটি আটক করা হয়। মিথ্যা ঘোষণায় আনা এ চালানটির মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর আগে কাস্টমসের এআইআর টিম মিথ্যা ঘোষণায় আনা বড় ধরনের একটি সিগারেটের চালান জব্দ করে। সে চালানে ৫০ লাখ শলাকা সিগারেট জব্দ করা হয়।
Discussion about this post